নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ পবিত্র শবে মেরাজ। আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে এই মহিমান্বিত রাতে শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হযরত জিবরাইল (আ.) ও হযরত মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকের মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিমে পৌঁছান ও আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করার পরম সৌভাগ্য অর্জন করেন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র এ রাতটি পালন করবেন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষে ২৬ রজব দিবাগত রাতে সৃষ্টিজগতের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই ঘটনা সংঘটিত হয়।
আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। পবিত্র কুরআনে মক্কা মোয়াজ্জমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণকে পবিত্র ‘ইসরা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পবিত্র হাদিসে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত উপনীত হওয়া ও আরশে আজিমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মহিমান্বিত ঘটনাকে মিরাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
একই সময়ে মিরাজে মহানবী (সা.) সৃষ্টিজগতের সব কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। মিরাজ থেকে আল্লাহর রসুল উম্মতে মোহাম্মদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে পৃথিবীতে আসেন। অন্য কোনো নবী এমন সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র এ রাতটি ‘শবে মিরাজ’ হিসেবে পালন করে থাকেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার, নফল নামাজ, মসজিদ, মাদরাসা, খানকা ও বাড়িতে মিলাদ এবং গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে থাকেন।